লিখেছেনঃ রেবেকা সুলতানা রিতু
কাঠফাটা তপ্ত রোদ আমায় কখনোই আপনার সাথে দেখা করাতে আটকাতে পারেনি।
আমি প্রশ্রয়ই দেই নি রোদকে।
ছাতা হাতেই বেড়িয়ে পড়েছি মুষুলবৃষ্টির মাঝে।
আমি প্রশ্রয়ই দেই নি বৃষ্টিকে।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশা আমায় বাধা দিতে পারে নি আপনাকে দেখার আকুলতা থেকে।
প্রশ্রয় দিতে পারি নি আমি সেই কুয়াশাজড়ানো সকালটাকে।
কাশফুলে যখন নদীর পাড়ে ছেয়ে যাচ্ছে, বন্ধুরা দলবেধে সেথায় যাচ্ছে। আমি যেতে পারি নি।
প্রশ্রয় দেই নি সেই বিকেলের আনন্দটাকে।
তীব্র মাইগ্রেনের ব্যথাকে উপেক্ষা করে আমি ছুটে গিয়েছি আপনাকে দেখবো বলে।
প্রশ্রয় দিতেই পারি নি ব্যথাটাকে।
আপনার নিত্যকার দিনযাপন ছিলো আমার মুখস্থ।
শত কিছু ভুলে গেলেও, মস্তিষ্ককে প্রশ্রয় দেই নি আপনার দিনযাপন ভুলে যেতে।
আমি রোজ নিয়ম করে আপনাকে দূরে থেকে চেয়ে একটিবার দেখতাম।
শত কস্টকে তুচ্ছ ভাবতাম।
প্রশ্রয় দিতাম না আপনার দেখা-অদেখাকে।
আমি শুধু মন ভরে দেখতাম।
হাজার প্রশ্রয় না দেওয়ার মাঝে, আমি প্রশ্রয় দিয়েছিলাম নিজেকে।
বলে উঠতে পারিনি ভালোলাগে,ভালোবাসি।
প্রশ্রয় দিয়েছিলাম আপনার মুচকি হাসিটাকে,যা আমায় বাধ্য করেছিলো মায়া তৈরিতে।
প্রশ্রয় দেওয়া আর না দেওয়ার মাঝেই আপনি হারিয়ে গেলেন।
ছন্দপতন করে অন্যকারো উপন্যাস হলেন।
আচ্ছা এই যে একটা অগোছালো মেয়ে এতো করে আপনাকে চাইতো,বুঝতে পারতেন!
পারতেন না।
আমি যে নিজেকে প্রশ্রয় দিয়েছিলাম অনুচ্চারিত শব্দটি উচ্চারিত না করতে।
আমি যে এখনো নিজেকে প্রশ্রয় দিচ্ছি, এক পাক্ষিক ভালোবাসতে।
এখনো প্রশ্রয় দিচ্ছি, আপনাকে নিয়ে মস্তিষ্কে শব্দজট করতে,কলমের ছোয়ায় কিছু লিখতে।
প্রশ্রয় যে বড্ড বেমানান।আপনি যে এখন তার উপন্যাসের প্রশ্রয়!
আমি তো নিছকই প্রশ্রয়ের ভালোবাসায় আপনাকে বেধেছিলাম।
আপনার মতামত লিখুন :