ফজলে রাব্বী মানু, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন ১১জন ইউপি সদস্য। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ করেন তারা।
শনিবার দুপুর ১২টায় ধুনট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ৩জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ও ৮ জন সাধারন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান বিল্পব ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নাজমুল কাদির শিপন চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদটি থেকে জনসেবামূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা বারবার প্রতিবাদ করেও ব্যর্থ হয়েছি। চেয়ারম্যান সরকার ঘোষিত কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। তিনি টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, ভিজিডি, ভিজিএফ, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, কৃষি উপকরণ বিতরণসহ সকল কাজে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন।
চেয়ারম্যানের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বগুড়া জেলা জজ আদালতে একটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য শরিফুন বেগম এ মামলা করেন।
এ অবস্থায় সরকারের স্থানীয় পর্যায়ের সুষম উন্নয়নের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যহত এবং প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিসহ বিশৃংখল পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা জনস্বার্থে চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপনকে সকল প্রকার কর্মকান্ড থেকে অব্যাহতির জন্য অনাস্থা প্রস্তাব করছি।
চেয়ারম্যানকে অনাস্থা প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য আমরা চিকাশি ইউনিয়নের ০৩জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ও ০৮ জন সাধারণ সদস্য স্বাক্ষর করেছি। ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের প্রতিলিপি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন বলেন, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, অনাস্থা প্রস্তাবের কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :