ফজলে রাব্বী মানু,ধুনট(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রনজু মিয়া (৪২) নামে এক কৃষককে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুলতান আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুলতান আলী উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারি গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে।
প্রধান ঘাতক সুলতান আলীকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে রবিবার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরআগে শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকার কাফরুল থানা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শৈলমারি গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে সুলতান আলী, ফিরোজ আহম্মেদ ও কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় মাদক দ্রব্য ব্যবসার প্রতিবাদী ছিল একই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে রজনু মিয়া। সুলতান ও তার সহযোগীদের মাদক কারবারের বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল রনজু। এ কারনে সুলতান ও তার সহযোগীরা রনজুর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
এ অবস্থায় ৩১ জানুয়ারী সন্ধ্যায় রনজু মিয়া বাড়ির অদুরে নিজের জমিতে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করছিলেন। এ অবস্থায় রাত ৯টার দিকে সুলতান ও তার সহযোগীরা জমির ভেতর রনজুকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্বজনরা রনজুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রনজুর স্ত্রী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সুলতান আলী, ফিরোজ ও আব্দুল হান্নানের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বলেন, হত্যাকান্ডের পর সুলতান আলী ঢাকার কাফরুল থানা এলাকায় রিকশা চালানোর অন্তরালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তার কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানার সুযোগ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :