বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৪, ২০২০, ১:২১ অপরাহ্ন / ৪২৯
বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ক্যাম্পাস ডেস্কঃ গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২য় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লাউঞ্জে এবং একইসাথে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইন প্লাটফর্ম ‘জুম’ এপসে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার সকাল ১০ টায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.রকিবুল ইসলামের সম্পাদনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে সভা কার্যক্রমের সূচনা হয়। আলোচনার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। যথাবিহিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.হাসিবুর রহমান।

উক্ত সভায় শরীরে এবং অনলাইনে প্রায় ১৬০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকদের পদোন্নতি জট নিরসন, আর্থিক ও পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকদের ক্ষতি প্রশমনে করণীয় নির্ধারণ, শিক্ষকদের পারিতোষিক হার যুগোপযোগীকরণ, শিক্ষক ক্লাবের পরিচালনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অনলাইন ক্লাস প্রকৃতার্থে ফলপ্রসূ করণে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা প্রদান, শিক্ষকদের আবাসন এবং আমলাতান্ত্রিক নানান জটিলতাসহ বর্তমান শিক্ষক সমিতির মেয়াদ শেষে নতুন শিক্ষক সমিতি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।

শিক্ষকদের আলোচনা থেকে উঠে আসে যে, দুই বছর ধরে আপগ্রেডেশন এবং রিজেন্ট বোর্ড না হওয়ায় প্রায় ১০০ শিক্ষকের আপগ্রেডেশন সর্বনিম্ন ৮ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত আটকে আছে। সংখ্যাটি এই নভেম্বরে এসে দাড়াবে প্রায় ১৮০ জনে। এতে করে শিক্ষকেরা ভিষণভাবে আর্থিক, সামাজিক,মানসিক এবং পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় যে, এই ক্ষতি প্রশমনে প্রশাসন আগামী ২০ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে শিক্ষক আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধন করে প্রাপ্যতার তারিখ থেকে আর্থিক সুবিধাসহ এসকল শিক্ষকদের পদোন্নতি নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় শিক্ষকেরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। বক্তারা আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর নামে নামাঙ্কিত এবং তারই পূণ্যভূমিতে অবস্থিত, অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত এবং বঞ্চিত। আরো উল্লেখযোগ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পারিতোষিক হার অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সর্বনিম্ন ৯ বছরেও বৃদ্ধি করা হয়নি যা খুবই হতাশাজনক।

সভায় বক্তারা অনলাইন ক্লাস আরো ফলপ্রসূ করতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ডেটা প্রদানসহ বিভাগগুলোতে অনলাইন ক্লাসের সরঞ্জামাদি প্রদানে বিশেষ অনুরোধ জানান। এবং ইতিহাস ও ইটিই বিভাগের চলমান সংকট নিরসনে বিশেষ তাগিদ দেন।

সভায় শিক্ষক ক্লাব পরিচালনায় এসিসিই বিভাগের সভাপতি এবং সহকারী অধ্যাপক ড.মো. কামরুজ্জামানকে সভাপতি এবং এআইএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলাইমান হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। একইসাথে বিএমবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুব হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, যার অন্য দুজন সদস্য হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক মো. মজনুর রশীদ এবং বিলওয়াবসের শিক্ষক নুসরত জাহান।