বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে গাফিলতি?


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ৫:১৪ অপরাহ্ন / ২৭৬
বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে গাফিলতি?

ফয়সাল জামান ফাহিম
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

স্থায়ী শিক্ষক এবং পর্যাপ্ত ক্লাসরুম সংকটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগ।বরাবর প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়ে আসলেও কোন ফলাফল মেলেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচিতে যান উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ধ্রুব জানান, এই বিভাগের বয়স প্রায় তিন বছর। তবে এখন অব্দি কোন স্থায়ী শিক্ষক নেই। অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, পর্যাপ্ত সংখ্যক ডিজাইন স্টুডিও সহ একটি আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্ট পরিচালনা করতে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রয়োজন তার কিছুই নেই আমাদের।এমতাবস্থায় আমরা আমাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অত্যন্ত শঙ্কিত এবং হতাশাগ্রস্থ।

তিনি আরো বলেন করোনার মধ্যেও দুইবার প্রশাসনের শরণাপন্ন হই। ইতোপূর্বে তারা ০১ মাসের সময় নিয়েছে। তবে তারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসছেন । তাদের এই একমাস শেষই হচ্ছে না। গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের নিকট গেলে তারা একই বক্তব্য দেন যা সন্তুষ্ট জনক নয়।এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।মাননীয় ভিসি মহোদয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন দ্রুতই শিক্ষক নিয়োগ দেবেন এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান করবেন।মাননীয় ভিসি মহোদয়ের বক্তব্যের প্রতি সম্মান রেখে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত রেখেছি।বৃহস্পতিবারের পর আমাদের সমস্যার সমাধানে কোন কার্যক্রম নেওয়া না হলে, আরো কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন,এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের গাফিলতি। আমরা এবারও ৬৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি।স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক চেয়েছেন কিনা এটা ভিসি মহোদয় বলতে পারবেন।আমরা দুই তিনবার রিমাইন্ডার দিয়েছি,তালিকা পাঠিয়েছি।সেই তালিকা পূরণ করে দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী আমরা নিয়োগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন,ইউজিসি কি প্রশাসন নয়? ইউজিসি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহেলা করেছে।ইউজিসিকে আমি বলেছি একটা বিভাগে একজনও স্থায়ী শিক্ষক নেই, আপনারা যতজন নিয়োগ দিতে পারবেন, ততজনই আমাদের প্রয়োজন। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসিকে ০১ বছর আগে, ০৬ মাস আগে এবং ০৩ মাস আগে বরাবর জানানো হয়েছে।এর দায়ভার প্রথমত ইউজিসি প্রশাসনের। ইজিসি অর্থ না দিলে, শিক্ষক না দিলে আমরা কি করতে পারি!?এরপরও নিজস্ব অর্থায়নে অস্থায়ী শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে। অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও ইউজিসি’র প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এ যাচ্ছি, এক মাসের মধ্যেই এ সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) এর মানদণ্ড অনুযায়ী ২৫% অস্থায়ী শিক্ষক থাকতে পারে তবে এই বিভাগটি শতভাগ অস্থায়ী শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।