তানবির আলম খানঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানিয়েছেন, ‘দুই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে রাত ৯ টা ৫০ মিনিটের আসছিলেন। এ সময় তাঁদের দুজনকে একটি অটোরিকশায় তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ছাত্রটিকে বেঁধে রেখে হেলিপ্যাডের পাশেই গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নতুন নির্মাণাধীন স্কুলঘরে আনুমানিক ৭-৮ জন বখাটে মিলে ছাত্রীটিকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।’
ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত বখাটেরা স্থানীয় নাগরিক। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে গতকাল রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
ঘটনার পরপরই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরাঃ
এদিকে এই ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পরপরই বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদযাত্রা মিছিল নিয়ে ৭ কিলোমিটার হেটে গোপালগঞ্জ সদর থানা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা সারারাত সেখানেই অবস্থান করে। ধর্ষকদের ধরতে ২৪ ঘন্টা সময় চেয়েছে জেলা পুলিশ। তবে শিক্ষার্থীরা আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের আটক করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আল্টিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিন দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সকালে থানা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
সকাল আটটার দিকে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া মোড় এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানেই রয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ‘বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই স্থানীয় বখাটে ছেলে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ‘এ ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।’ প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানিয়েছেন, ‘সড়কে আটকা পড়া যানবাহনের দীর্ঘ সারি হয়ে গেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আসামি চিহ্নিত করা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি আছে। শিগগিরই পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :