বোয়ালিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে মুকসুদপুর ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের সংহতি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন / ৩৩৪
বোয়ালিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে মুকসুদপুর ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের সংহতি

নিউজ ডেস্কঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া নেজামুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রকীবুল হাসান মুন্সী (রকীব মাস্টার) এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রশাসনিক তদন্ত ও বিচার দাবীর পাশাপাশি বোয়ালিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ‘মুকসুদপুর ছাত্রকল্যাণ সংগঠন’। সংগঠনটির পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিপত্রে উক্ত আহ্বান ও সংহতি জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া নেজামুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রকীবুল হাসান মুন্সীর (রকীব মাস্টারের) বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতি, অযৌক্তিক ফি আদায়, কোচিং বাণিজ্য, অন্য স্কুলের নামে বোয়ালিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দেওয়াসহ আরও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন বোয়ালিয়া নেজামুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে বোয়ালিয়া নেজামুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রকীবুল হাসান মুন্সী প্রথম সারির ১২ জন শিক্ষার্থীকে নিম্নমানের (আদতে অচল) প্রভাকরদী স্কুলের নামে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দেন। প্রশংসাপত্র দেওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক রকীবুল হাসান নিজেই স্বাক্ষর করেন, যেখানে তিনি উল্লেখিত অন্য নিম্নমানের স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নন, কিন্তু সার্টিফিকেটের সীল ও লোগোতে উক্ত অন্য স্কুলের নাম দেখা যায়। একই ব্যক্তি কিভাবে একইসাথে দুটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে সেটি বোধগম্য নয়।

বশেমুরবিপ্রবি মুকসুদপুর ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের পক্ষ থেকে দুটি স্কুলেই শিক্ষক রকীবুল হাসানের কর্মকাণ্ড ক্ষতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, প্রধান শিক্ষক রকীবুল হাসান মুন্সীর সার্টিফিকেট জালিয়াতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও আরও অন্যান্য কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং এসবের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত ও ঐ শিক্ষকের বহিষ্কার দাবী জানিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মুকসুদপুরের বোয়ালিয়া নেজামুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।