বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
তথ্য প্রযুক্তি আইনে(আইসিটি) মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগান্তর প্রতিনিধি ও রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক রায়হান বাপ্পিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিক সদস্যবৃন্দ।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটু ও সাধারণ সম্পাদক তানবির আলম খান বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের পক্ষে এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন,’বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি আইনটি’কে ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানি মামলা, গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনা নতুন নয়। সত্য সংবাদ বিরুদ্ধে চলে গেলে এই ধরনের বিতর্কিত আইনকে ব্যবহার করে ‘হয়রানি মামলার নির্লজ্জ হুমকি’ দেওয়ার ঘটনাও অহরহ ঘটছে। সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক মানিক রায়হান বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলা এবং তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
নিঃসন্দেহে চিন্তা ও বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এটি আরেকটি কালো অধ্যায়। আমরা বিশ্বাস করি, আদর্শগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্তমত প্রকাশ ও সত্য-সুন্দর-স্বাধীন জ্ঞানচর্চার একটি উর্বর ভূমি। আমরা অবিলম্বে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার বিরোধী বিতর্কিত ঐ আইনে সাংবাদিক মানিক রায়হান বাপ্পির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ১৩ই নভেম্বর সন্ধ্যায় চাপাইনবয়াবগঞ্জ এর শিবগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক মানিক রায়হান বাপ্পিকে। পরে ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ‘হলে সিট বরাদ্দ দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে’ এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বিতর্কিত তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :