তানবির আলম খান, গোপালগঞ্জঃ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে বশেমুরবিপ্রবির আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পাদদেশে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উক্ত কর্মসূচি পালন করে।
এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা বক্তৃতায় ক্ষোভ প্রকাশ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী মিলন বলেন, “শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীদাওয়ার প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করে উল্টো সেখানকার উপাচার্য পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে আমরা তার নিন্দা জানাচ্ছি, একইসাথে তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”
ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক উপসম্পাদক মো. আল-আমিন বলেন, ” রাষ্ট্র সমস্ত অধিকার আমাদের দিয়েছে, কিন্তু এখানে এখানে জগদ্দল একটা গোষ্ঠী অক্টোপাসের মতো সবকিছু চেপে ধরেছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার যে অপপ্রচেষ্টা সেটা আমরা রুখে দাঁড়াব।”
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পদগুলো এত লোভনীয় যে সেগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন করতে পিছপা হয় না। জনগণের টাকায় রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীর বেতন দেওয়া হয়, অস্ত্র কেনা হয়। নিরাপত্তার দেওয়ার পরিবর্তে সেই অস্ত্র ও পুলিশকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার কাজে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন ওই হলের ছাত্রীরা। এসব দাবিতে রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। বিকেলে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে যান। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :