গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: প্রাথমিক আবেদন ১ এপ্রিল, পরীক্ষা শুরু ১৯ জুন


প্রকাশের সময় : মার্চ ৮, ২০২১, ৫:৫১ অপরাহ্ন / ২৩২
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: প্রাথমিক আবেদন ১ এপ্রিল, পরীক্ষা শুরু ১৯ জুন

ক্যাম্পাস ডেস্কঃ

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১ এপ্রিল হতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে। পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুন থেকে। যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তাঁরা সকলেই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন।

৮ মার্চ (সোমবার) বেলা ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উপাচার্যবৃন্দের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোন ফি প্রদান করতে হবে না। যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখাতে বিভাগে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। শুধুমাত্র এবছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী বছর হতে পূর্ববর্তী বছরের পাসকৃত অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ২৩ এপ্রিল স্বয়ক্রিয়ভাবে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল হতে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। সকল পরীক্ষা নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে বেলা ১২টায় শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েস করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাসকৃত শিক্ষার্থীগণ বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘কেন্দ্র’ হিসেবে চয়েস বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে চয়েসকৃত নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে। আবেদনকারীরা ১ জুন হতে ১০ জুন তারিখের মধ্যে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা ১৯ জুন হতে শুরু হবে। ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্যাদি ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইট (www.gstadmission.org এবং www.gstadmission.ac.bd) ও জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় (কুষ্টিয়া)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল) এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলাউদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ. এম মোস্তাফিজুর রহমান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. রোস্তম আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা)-এর মাননীয় উপ-উপাচার্য (উপাচার্য এর দায়িত্ব প্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসেন আরা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় ট্রেজারার (উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত-এর পক্ষে উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. পূর্নেন্দু বিশ্বাস, এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা)-এর সম্মানীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য উপস্থিত ছিলেন।